হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

যুবদল নেতার বাড়িতে গুলির আগে পুলিশের সঙ্গে দুর্বৃত্তরা, নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

এয়ারপোর্ট থানার সামনে যুবদল নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মধ্যরাতে রাজশাহীর পবায় যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। দরজা ভেদ করে একটি গুলি বাড়ির ভেতরে ঢোকে। এতে আহত হন মিন্টুর বাবা আলাউদ্দিন (৬০)। গুলিটি তাঁর কোমরে লাগে। পরদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি।

ঘটনাটি ঘটে ১৪ জানুয়ারি উপজেলার ভুগরইল গ্রামে। এ ঘটনার ১০ মিনিট আগে নগরীর এয়ারপোর্ট থানার সামনে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের আলাপচারিতার একটি ভিডিওর খোঁজ মিলেছে।

এটি দেখার পর আজ বুধবার থানার সামনে বিক্ষোভ করেন যুবদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় থানার সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের এক লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে নেতা-কর্মীরা নগরীর ভুগরইল বটতলার মোড়ে জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এয়ারপোর্ট থানার সামনে যান। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেরিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর নেতা-কর্মীরা চলে যান।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ১৪ জানুয়ারি রাতে একটি আপস-মীমাংসার জন্য দুই পক্ষ এয়ারপোর্ট থানায় বসেছিল। সেখানে ছিলেন যুবদল নেতা মিন্টুও। রাতে তিনি থানা থেকে যাওয়ার পরই তাঁর বাড়িতে গুলি চালানো হয়। যারা গুলি করে, তারাও ওই রাতে আপস-মীমাংসার জন্য থানায় এসেছিল। ঘটনার ১০ মিনিট আগেও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে থানার সামনে তাদের আলাপ করতে দেখা গেছে।

জেলা যুবদলের সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম ডনি বলেন, ‘আমরা এখনই বলছি না যে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে গিয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করেছে। তবে আমরা ভিডিও পেয়েছি, তাতে দেখা যাচ্ছে, থানার সামনে সাদাপোশাকে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সন্ত্রাসীরা কথা বলছে। এ থেকে বোঝা যায়, পুলিশ তাদের প্রত্যেককে চেনে। এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ যেন শাহমখদুম থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করে, সেই দাবি নিয়ে আমরা থানার সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেছিলাম।’

সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট থানার ওসি ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা দুই পক্ষকে নিয়ে সেদিন (১৪ জানুয়ারি) রাতে আপস-মীমাংসার জন্য বসেছিল। সুন্দরভাবে আপস-মীমাংসা হওয়ার পরে তারা চলে যায়। তারপর কে কী ঘটনা ঘটিয়েছে, তার জন্য পুলিশের ওপর দায় আসতে পারে না। তবু বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’

ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘আজ ১৩০-১৪০ জন থানার সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। আমি তাঁদের বুঝিয়ে বলি যে মামলা তদন্ত হচ্ছে শাহমখদুম থানায়। এই থানার সামনে বিক্ষোভ করা যুক্তিসংগত নয়। তাঁদের বুঝিয়ে বলেছি, তদন্ত কর্মকর্তা কোনো সহায়তা চাইলে অবশ্যই করা হবে। এর ১০-১৫ মিনিট পর বিক্ষোভ শেষ করে তাঁরা চলে গেছেন।’

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় রাজশাহীর শাহমখদুম থানায় ৩৭ জনের নামে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত মো. আব্দুল্লাহ (২৬) ও মো. ওবায়দুল (২২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মাঝপথে দুই পিডির দরপত্র স্থগিত ২০০ ঠিকাদারের ক্ষতি ২ কোটি

আশ্রয়ণের ঘর ধ্বংসে দিশেহারা ৬০ পরিবার

প্রতিশ্রুতি দিলেও জয়পুরহাট সীমান্তে খুঁটি ও কাঁটাতারের বেড়া তুলে নেয়নি বিএসএফ

জুলাই আন্দোলনে নিহত মেহেদিসহ তিন রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুবিমা পরিশোধ করল জেনিথ লাইফ ইনস্যুরেন্স

প্রেমঘটিত কারণে দুই তরুণের দ্বন্দ্ব, মার খেলেন রাবির সমন্বয়ক

যৌন সম্পর্কের পর বিয়েতে অস্বীকৃতি: আজিজুল হক কলেজের শিক্ষক নেতাকে বদলি

১৫ পুলিশ হত্যা মামলা: লতিফ বিশ্বাসকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

বগুড়ায় ৬ জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার

সংঘর্ষের পর বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক: সীমান্তের ১৫০ গজে কৃষক ছাড়া কেউ যাবে না

গোদাগাড়ীতে বিএনপি নেতার ‘ফেস্টুন ছিঁড়তে গিয়ে’ ধরা ছাত্রদলের ২ কর্মী

সেকশন