ভোট গ্রহণের তিন দিন আগে বাসায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা কেন গিয়েছিলেন তা জানতে চেয়ে রাজশাহী সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। আবুল হোসেন রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শোকজের জবাব আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানো হবে। ভোটের আগের দিন এটা নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজন মানুষের বাসায় অন্য আরেকজন মানুষ যেতেই পারেন। তবে আবুল হোসেনের বাসায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা কেন গিয়েছিলেন সেটি আমরা তদন্ত করে দেখব। আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’
আবুল হোসেন রাজশাহী নগরীর সাগরপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় একাই থাকেন। গত রোববার রাতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন তাঁর বাসায় যান। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে মধ্যরাতে পুলিশ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
বুধবারের সিটি নির্বাচনে লিমনের মামা নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। তিনি এ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলরও। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল গত বছরের অক্টোবরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
শোকজের বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ সকালে কার্যালয়ে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এদিকে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণের সময়ও তাঁকে দেখা যায়নি। তবে ঘটনার রাতে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
ওই রাতে তিনি বলেন, ‘লিমন আমার পূর্বপরিচিত। তিনি একটি বিষয়ে কথা বলার জন্য এসেছিলেন। বাসার বাইরে দাঁড়িয়েই তিনি কথা বলতে চাচ্ছিলেন। আমিই তাঁকে বাসার ভেতরে নিয়ে এলাম। কারণ, আমার বাসায় আমি ছাড়া কেউ থাকে না। লিমন ঢোকামাত্র কিছু ছেলে এসে তাঁকে আটকে রাখে।’