অসুস্থ স্বামীকে রাজশাহী শহরের বাসায় রেখে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে রোজ অফিসে যান ফাতেমা খাতুন। অফিসের এই দূরত্ব কমাতে ফাতেমা অনেক দিন ধরেই বদলি হয়ে আসতে চাইছিলেন পবা উপজেলায়। দুই বছরে দুবার ফাতেমা তদবির করেই পবা উপজেলায় বদলি নেন। কিন্তু পাল্টা তদবিরের কারণে যোগ দিতে পারলেন না একবারও।
ফাতেমা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা। দেশের প্রতিটি উপজেলায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার পদ একটি। প্রায় ছয় বছর ধরে পবায় এই পদে কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন শিমুল বিল্লাহ সুলতানা নামের এক নারী। গত ২৮ মার্চ শিমুল বিল্লাহকে নাটোরের বড়াইগ্রামে বদলি করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনে বড়াইগ্রামের মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনকে পবায় বদলি করা হয়। পরে ৩ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনে শিমুল বিল্লাহ সুলতানাকে বড়াইগ্রামে রেখেই হাবিবা খাতুনকে দুর্গাপুরে পদায়ন করা হয়। আর পবায় বদলি করা হয় দুর্গাপুরের কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুনকে।
তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে ৩ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়। এই প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর দুপুরে ফাতেমা কাঁদতে কাঁদতে পবা কার্যালয় ছেড়ে চলে যান।