নাটোরের লালপুরে পূজা উদযাপন পরিষদের এক নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হামলার শিকার ওই ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার কর্মকার (৫৮)। তিনি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।
উপজেলার বৈষ্ণব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শ্রী শ্রী ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোঁসাই আশ্রমের কমিটি গঠন নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সঞ্জয় কুমার গোঁসাই আশ্রমের সাবেক সভাপতি ও বিলমাড়িয়া গ্রামের অনিল কুমারের ছেলে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এস এম আলমাস বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে আহত সঞ্জয় কুমারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর বাম হাতের দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সঞ্জয় কুমার কর্মকার বলেন, ‘আশ্রম কমিটি নিয়ে কোর্টে মামলার শুনানি শেষে আমি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে উত্তম কুমারের নেতৃত্বে মিল্টন, সিরাজ, চঞ্চল, সুজিত ঘোষ, সঞ্জিত ঘোষ, নির্মলসহ আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর ও প্রতিবেশী ছোট ভাই খোকনের ওপর হামলা করে। উত্তমের নেতৃত্বে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আশ্রম দখল ও ধন–সম্পদ লুটপাটের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। আমি বাধা দেওয়ায় আমার ওপর তাঁরা হামলা করেছে।’
আশ্রমের বর্তমান কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আশ্রমের বিষয় নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। আমরা আইনিভাবে সবকিছু মোকাবিলা করছি। সঞ্জয় দুর্নীতি করে তাঁর অপকর্ম ঢাকার জন্য এসব করছেন।’
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক বলেন, দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।