মো. মনিরুজ্জামান ফারুক, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)
অন্যের ভিটেয় ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান। থালা-বাসন, হাঁড়ি-পাতিল ছাড়া ঘরে নেই কোন আসবাবপত্র। দু’টি চৌকিতে পরিবারের সাত সদস্য কোনোমতো রাত যাপন করেন। ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। নেই সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা। প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া সরকারি কোন সাহায্য-সহযোগিতাও পান না তিনি। সহায়-সম্বলহীন অসহায় প্রতিবন্ধী এ মানুষটির কপালে জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটা ঘর। চলাফেরার জন্য নেই একটা হুইল চেয়ার।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান। চৌদ্দ বছর ধরে তিনি একই ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে বাস করছেন।
এক হাত ও এক পা বিহীন শারীরিক প্রতিবন্ধী মিজানুরের মানবেতর জীবন-যাপন নিয়ে সম্প্রতি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ও অনলাইনে ভিন্ন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মানবিক প্রতিবেদনটি সাড়া ফেলে অনেকের মাঝেই। আজকের পত্রিকা পড়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে ছিলেন লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ব্লুজের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং মুক্ত আকাশ মিডিয়া স্টার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সম্পাদক লায়ন শামসুল আলম এবং পাবনা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (হোমিওপ্যাথিক) ডা. জাকারিয়া খান মানিক।
তাঁদের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমানের চলাফেলার জন্য একটা হুইল চেয়ার ও স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে একটি সেলাইমেশিন দেওয়া হয়েছে। হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন পেয়ে বেশ খুশি হয়েছেন মিজানুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন।
ডা. জাকারিয়া খান মানিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবেদনটি পড়ে ব্যথিত হয়েছি। সমাজের এমন একজন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
এ সময় ডা. জাকারিয়া খান মানিক, প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন শওকত, প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সংবাদকর্মী মেহেদি হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।