জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা ডাকঘর ভবনের দেয়ালের অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। আবার ছাদের বেশ কিছু জায়গায় পলেস্তারা খসে রড বের হয়ে গেছে। এমন জরাজীর্ণ ডাকঘরের মধ্যে বসেই পোস্টমাস্টারসহ অন্যরা মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আজ রোববার সকালে উপজেলা পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির ছাদের অনেক স্থানেই পলেস্তারা খসে রড বের হয়ে আছে। পোস্ট অফিসের কর্মচারীরা আতঙ্কের মধ্যেই দাপ্তরিক কাজ করছেন। ভবনটি মূল সড়কের পাশে। নিচু জায়গা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ডাকঘরটির সামনে হাঁটুপানি জমে। আবার ডাকঘরটির সীমানাপ্রাচীরও ভেঙে গেছে অনেক আগেই। এতে অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভবনটি।
উপজেলা ডাকঘর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে আক্কেলপুর পৌর শহরের প্রধান সড়কের সরদারপাড়া মহল্লায় নির্মাণ করা হয় পোস্টমাস্টারের বাসভবন এবং এই ডাকঘর। এই পোস্ট অফিসে সাধারণ হিসাব, মেয়াদি হিসাব, ইলেকট্রনিক মানি অর্ডার (এসবিএফডিইএমও), ক্যাশ কার্ড ও বিমার কার্যক্রমসহ চিঠিপত্র আদান-প্রদান চলে। প্রতিদিন এসব কার্যক্রমে ৩০-৩৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়। প্রতিদিন গড়ে সেখানে দেড় শতাধিক মানুষ সেবা নেন। এই সেবা দিতে সেখানে কর্মচারী রয়েছেন আটজন। এর মধ্যে পোস্টমাস্টার একজন, পোস্টাল অপারেটর দুজন, পোস্টম্যান দুজন, একজন প্যাকার, একজন রানার ও একজন ইডি চৌকিদার রয়েছেন।
লাকী আক্তার নামে এক গৃহবধূ বলেন, পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সরকারি একটি চিঠি আসার কথা ছিল। তাই খোঁজ নিতে এসেছিলাম। সরকারি অফিস যে এত ভাঙাচোরা হয়, তা ভেতরে না ঢুকলে বুঝতাম না। এখানে কী সরকারের চোখ পড়ে না?
পোস্টমাস্টার বলেন, ‘ভবনের বিষয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তারা আমাকে জানিয়েছে, অল্প দিনের মধ্যে কিছু একটা হতে পারে।’