রাজশাহীর বাগমারায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে আসা তরুণ মো. সোহাগকে (২৬) হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাঁদের বাগমারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন বাগমারা উপজেলার মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রনি (৩০) ও সাজ্জাদ হোসেন (২৮)। তাঁদেরকে গ্রেপ্তারের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম।
এসআই রবিউল ইসলাম জানান, গাজীপুরে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। তাঁদেরকে বাগমারা থানা-পুলিশেই হস্তান্তর করা হবে। তবে আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত তাঁরা আসামি বুঝে পাননি।
নিহত সোহাগের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়। তিনি ঢাকায় থাকতেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি সকালে সোহাগের বন্ধু বাগমারার মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মনাহার ইসলামকে (২৮) পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। খবর পেয়ে সোহাগসহ তিনজন বন্ধু মনাহারকে ঢাকা থেকে দেখতে আসেন। এ সময় গ্রামে তাঁদের দেখে মনাহারের প্রতিপক্ষরাই তাঁদের ওপর হামলা করেন। তখন দুজন পালিয়ে বাঁচলেও সোহাগকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে গ্রামের এক গলির ভেতর থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় নিহত সোহাগের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে পরদিন বাগমারা থানায় হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।