রাজশাহীর পুঠিয়ায় ভ্যানচালক কালু হত্যার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত কালুর স্ত্রী আদরি বেগম।
নিহত ভ্যানচালকের স্ত্রী ও মামলার বাদী আদরি বেগম বলেন, ‘আমরা চারঘাট উপজেলার বাসিন্দা। আর আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে পুঠিয়া উপজেলায়। আমরা গরিব মানুষ। আর আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী নির্মমভাবে হত্যার স্বীকার হলেন। জানি না কোনো দিন এই খুনিদের গ্রেপ্তার বা বিচার হবে কি না।’
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনার দিন নিহত ভ্যানচালকের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
গত ২১ মে ভোরে পুঠিয়ার রাজবাড়ী বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল ও ভ্যানচালক কুদ্দুস আলী ওরফে কালু (৩৫) সবজি কিনতে নাটোরের তেবাড়িয়া হাটে যাচ্ছিলেন। পথে গাঁওপাড়া ঢালানে পৌঁছালে তিনজন দুর্বৃত্ত তাঁদের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ভ্যানচালক কালুর হাত-পা বেঁধে জবাই করে হত্যা করে। আর কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়ালের কাছে থাকা টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ ও ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে।