নওগাঁয় গত এক বছরে ১৫০ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যৌতুক, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও মাদক সেবনে বাধা দেওয়া, সন্তান না হওয়াসহ বেশ কিছু কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শহরের মাস্টারপাড়ায় সংগঠনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদিকা পারভীন আক্তার বলেন, গত এক বছরে (২০২২ সালের ২২ নভেম্বর থেকে চলতি বছর ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত) নওগাঁ জেলার ১৫০ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারী শিকার হয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে থেকে যৌতুকের জন্য, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের, মাদক সেবনে বাধা দেওয়া, সন্তান না হওয়াসহ বেশ কিছু কারণে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ পেয়ে মহিলা পরিষদের প্রচেষ্টায় ৩৫টি বিবাদ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বেশ কিছু মামলা আদালতে বিচারাধীন। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক অভিযোগের শেষ পর্যন্ত সুরাহা করা সম্ভব হয় না। তারপরও সব অভিযোগ গুরুত্বসহকারে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
লিগ্যাল এইড সম্পাদক মমতাজ বেগম বলেন, গত পাঁচ দশকে আর্থসামাজিক উন্নয়নে নারীর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। অথচ তাঁদের মানবাধিকার এখনো অর্জিত হয়নি। তাঁদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। নারীর পাশে সবাইকে দাঁড়াতে হবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ধরণি হোক সবার জন্য নিরাপদ বাসগ্রহ। কেউ যেন নির্যাতনের শিকার না হয় সে জন্য যে যার পর্যায়ে থেকে কাজ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার সহসভাপতি সিদ্দিকা খাতুন, আন্দোলন সম্পাদিকা পারভীন রেজা, প্রশিক্ষণ সম্পাদিকা মনোয়ারা বেগম, ব্রাঞ্চ এক্সিকিউটিভ তনিমা মাহমুদ প্রমুখ।