হারিয়ে যাওয়া পোষা বিড়াল খুঁজে পেতে ক্যাম্পাসে হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। সেই সঙ্গে সন্ধানদাতাকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের দেয়ালে বিজ্ঞপ্তিটি সাঁটিয়ে দেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তি দেওয়া শিক্ষার্থীর নাম মোছা. তানিয়া খাতুন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। হারানো বিজ্ঞপ্তিতে তানিয়া লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া (ছাত্রী হল) থেকে বিড়াল ছানাটি নিখোঁজ হয়ে গেছে। ছানাটির না সন্দেশ। গায়ের রং সম্পূর্ণ সাদা, লেজ সম্পূর্ণ বাদামি এবং মাথা সামান্য বাদামি। ছানাটি হারানোর পর থেকে ওর সঙ্গী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খাওয়া বন্ধ করে সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছে। ক্যাম্পাস বা হল এরিয়াতে যদি কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি বিড়াল ছানাটিকে দেখে থাকেন অনুগ্রহ করে জানাবেন। যদি কেউ শখ করে পালতে নিয়ে থাকেন, দয়া করে আরেকটি বাচ্চার কষ্টটা অনুভব করে হলেও ওকে দিয়ে দিন। বাচ্চাটা খুব কষ্ট পাচ্ছে একা একা।
এ ছাড়া সন্ধানদাতাকে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে তানিয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মেসে থাকার সময় সেখানে একটি বিড়ালের তিনটি বাচ্চা হয়। পরে একটি মারা যায়। এমন সময় ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যায়। আমার পরীক্ষা থাকায় আমি মেসেই থেকে যাই। তখন থেকে বিড়াল ছানা দুটিকে নিজের সন্তানের মতো আমি লালন করি। পরে হলে উঠলে সেখানে ছানা দুটিকেও নিয়ে আসি। ৭ আগস্ট সেখান থেকে সন্দেশ হারিয়ে যায়। তার শোকে অন্য ছানাটিও খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে মুষড়ে গেছে। আমিও অনেক খোঁজাখুঁজি করছি। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি। পরে আমি বাধ্য হয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছি। অনেক খোঁজও এসেছিল। কিন্তু সেগুলো আমার হারিয়ে যাওয়া সন্দেশ নয়।’
পুরস্কার ঘোষণার বিষয়ে তানিয়া খাতুন বলেন, ‘বিড়াল ছানা দুটিকে আমি নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। একজন মায়ের কাছে সন্তানের যেমন মূল্য, আমার কাছে ছানা দুটিরও তেমন মূল্য। তাই তাকে ফিরে পেতে আমি ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছি। কিন্তু কেউ যদি তার সন্ধান দিতে পারেন হয়তো খুশি হয়ে তার থেকে বেশিও দিতে পারি।’