নাটোরের লালপুরে যুবদল কর্মী মাসুদ রানাকে তুলে নেওয়ার দেড় ঘণ্টা পরে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার গোপালপুর মহিলা আদর্শ কলেজের পাশ থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। আহত মাসুদ রানা উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগশোষা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিলমাড়িয়া বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁকে সাদা মাইক্রোবাসে অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন ব্যক্তি চোখ-মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা পরিষদের পাশে গোপালপুর মহিলা কলেজে সামনের খাদে ফেলে রেখে যায়। কিছুক্ষণ পর রানার ডাক-চিৎকারে বিষয়টি সেখানকার নাইট গার্ডের নজরে আসে। পরে এলাকার মানুষজন তাঁকে উদ্ধার করে। পরে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম বলেন, আহত ব্যক্তির ডান হাতের কনুইতে জখম, ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের ছয়টি আঘাত ও হাঁটুর নিচে ভেঙে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।