বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মির্জা মাহমুদ খাল পুনঃখননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিয়ম না মেনে খাল নিজের ইচ্ছেমতো খনন করছেন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের (বিএডিসি) গুরুদাসপুর অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ (পানাসি) জেলার ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের আওতায় বিএডিসি গুরুদাসপুর সেচ বিভাগ এই খাল পুনঃখনন বাস্তবায়ন করছে।
স্থানীয় কৈডিমা ব্রিজ থেকে ধানুড়া মিল্কি পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালের ৮ থেকে ১০টি দরপত্র দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তিনটি দরপত্র হয়েছে, ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। বাকি দরপত্রগুলো দ্রুত দেওয়া হবে। শেখ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাল পুনঃখনন করছে।
চাপিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসতম আলী বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেন। এই কাজে সাহাপুর এলাকায় শিডিউল না মেনে স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন হোসেন ও টিপু আলীর দুটি পুকুরের পশ্চিম পাশ দিয়ে খনন করে, যা শিডিউল অনুযায়ী খাল প্রশস্ত করা হয়নি। সামান্য বৃষ্টি হলে আবার ভরাট হয়ে যাবে।’
চাপিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার মাস্টার বলেন, ‘নয়ন ও টিপুর কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে ঠিকাদার ইচ্ছামতো খাল খনন করছেন, যার সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমাদের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে। নিয়মের বাইরে কাজ করলে জনগণ মেনে নেবে না।’
স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বলে জানান চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার জন্য বিএডিসিকে জানিয়েছি। নিয়ম ছাড়া কাজ করা হলে এই এলাকার জনগণ মেনে নেবে না।’
অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার মিঠু আহমেদ বলেন, ‘বিএডিসি অফিস যেভাবে বলবে সেভাবেই খাল খনন করব। নয়ন ও টিপু আমাকে পুকুরের পাড় ঠিক করে বেঁধে দেওয়ার জন্য টাকা দিতে চেয়েছিল।’
নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সাহাপুর এলাকার নকশায় খাল না থাকায় ব্যক্তিমালিকানার জমি দিয়ে খাল পুনঃখননের কারণে এমনটি হয়েছে। অর্থনৈতিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নাই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’