স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ১৫ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মোছা. নাহিদ রহমান শরীফ তাঁকে গাজীপুর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (সংশোধনাগার) পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। পরে ওই দিন রাতে অভিযুক্ত সহপাঠী ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চৌহালী আমলি আদালত) আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসার (জিআরও) মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্রীর বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায়। তার মায়ের মৃত্যুর পর সে চৌহালীতে তার নানার বাড়িতে বসবাস করে এবং স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্রী।
একই স্কুলের ছাত্র হওয়ায় অভিযুক্তের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। পরে ওই কিশোর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। এখন সে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভুক্তভোগীর পরিবার বিষয়টি ওই কিশোরের পরিবারকে জানায়। কিন্তু তারা বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে অবগত করে বিচার না পেয়ে মামলাটি দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ইন্সপেক্টর মোহা. মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে সে শিশু। গ্রেপ্তার ওই কিশোর এখন জিআরও অফিসে আছে। পুলিশ স্কট আসার অপেক্ষায় আছি। স্কট আসলে তাকে গাজীপুর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) পাঠানো হবে।’
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা বুধবার রাতে অভিযুক্ত সহপাঠীকে (কিশোর) গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে পাঠিয়েছি।’