জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে একটি খননকৃত পুকুরের মাটি থেকে কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাশিড়া ঘোষপাড়া গ্রামে ৫৬০ গ্রাম ওজনের ওই মূর্তিটি স্থানীয়দের মাধ্যমে উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া ঘোষপাড়া গ্রামের মধ্য কালিতলা নামের একটি পুকুর খনন করা হয়। ওই মাটি বেলি বেগম নামের এক নারীর কাছে বিক্রি করেন স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব সাখিদার। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পুকুরের কেনা মাটিগুলো থেকে বেলি বেগম একটি পাথরের মূর্তি পায়। পরে তিনি সেটা স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয়কে দেখান।
বিনয় মূর্তিটি পূজা করার উদ্দেশ্যে রাতে মন্দিরে রাখেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা আজ শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলমকে জানান। ইউএনও বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
পাথরের ওই মূর্তিটির বাম পাশে কিছু অংশ ভাঙা এবং ওজন ৫৬০ গ্রাম ও উচ্চতা ৬ দশমিক ২ ইঞ্চি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে মূর্তিটি কোন ধরনের পাথরের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মূর্তিটি পাওয়া ওই নারী বেলি বেগম বলেন, ‘আমি বিপ্লব সাখিদারের কাছ থেকে পুকুরের মাটি কিনেছি। ওই মাটি থেকে পাথরের মূর্তিটি পেয়ে স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয়কে দিয়ে দেই। পরে প্রশাসন এসে সেটা নিয়ে যায়।’
পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, ‘এটি একটি দুর্লভ মূর্তি। আমাদের জাদুঘরে এ ধরনের কালো পাথরের মূর্তি নেই। তবে পোড়া মাটির টেরাকোটা আছে। এটি একটি অমূল্য প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ। উদ্ধারকৃত মূর্তি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।
ইউএনও মনজুরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়। মূর্তিটি আপাতত জেলা ট্রেজারিতে রাখা হবে। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে দিয়ে দেওয়া হবে।