সিংড়া উপজেলার ছাতারদীঘি ইউনিয়নের কুমিড়া গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টাকালে স্কুলশিক্ষক শাহীন আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।
স্কুলশিক্ষক শাহীন আলী উপজেলার পাকিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কুমিড়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। তিনি কুমিড়া গ্রাম সভাপতি বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্কুলশিক্ষক শাহীন আলী দীর্ঘদিন ধরে তার মহল্লার এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূর দিনমজুর স্বামী বিলে মাছ ধরতে গেলে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন শাহীন আলী। পরে গৃহবধূর চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে শাহীন আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘কুমিড়া গ্রাম সভাপতি শিক্ষক শাহীন আলী একজন লম্পট ও চরিত্রহীন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারি, তিনটি বিবাহসহ গ্রামের মসজিদের পুকুর দখল এবং নিরীহ মানুষদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি একটি হিন্দু মেয়েকেও ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। পরে এলাকায় হইচই পড়ে যায়।’
ছাতারদীঘি ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বাদশা বলেন, শিক্ষক শাহীন আলীর বিরুদ্ধে এলাকার পুকুর দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাঁকে নোটিশ করেও কোনো কাজ হয়নি। শাহীন আলী এলাকার একজন খারাপ মানুষ হিসেবে পরিচিত বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী আশরাফ বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এটা গ্রামের ঘটনা তাঁর দপ্তরের কোনো কিছু করার নেই। তবে ওই শিক্ষক বর্তমানে ডেপুটেশনে নিখিরা বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষক শাহীন আলীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার একটি মামলা হয়েছে। জনতার পিটুনির কারণে তাঁকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’