নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাঁর স্বামী ও ছোট ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পমপাথুরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূ কুলসুম বেগম (২৮) ছাড়া এ ঘটনায় আহত অন্য দুজন হলেন তাঁর স্বামী পমপাথুরিয়া গ্রামের সোহেল হোসেন (৩২) ও মো. শান্ত হোসেন (২২)। তাঁরা গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার শিকার কুলসুম বেগম বলেন, ‘অভাব-অনটনের সংসার আমাদের। আশা এনজিও থেকে টাকা নিয়ে আগেও কিস্তি পরিশোধ করেছি। এবার দুই সপ্তাহে ৭ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে। ছেলের অসুস্থতা ও আর্থিক সমস্যার কারণে এই দুই সপ্তাহ কিস্তি দিতে পারিনি। তাতে তারা এসে গালিগালাজ করে মেরে গেল।’
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাজিব হোসেন বলেন, কুলসুম বেগমের মাথায় দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাকি দুজনকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) আশার মৌখাড়া শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, ‘গ্রাহকের বাড়িতে আমরা টাকা আদায় করতে গিয়েছিলাম। এ সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা আক্রমণ করে বসে। নিজেদের বাঁচানোর জন্য দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে ওই নারীর হাতে থাকা কাঁচি লেগে আমার হাত কেটে যায়। আমরা কাউকে আঘাত করিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।