বগুড়ায় প্রতিবেশীর লাঠির আঘাতে তাহসিন নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
পুলিশ বলছে, ‘প্রতিবেশী আমিনুরের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু তাহসিন মারা গেছে। ঘটনার পর থেকেই আমিনুর পলাতক। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাড়ির কাছে লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিল তাহসিন (৯)। সে বগুড়া শহরতলির পশ্চিম গোদারপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
তাহসিনের বাবা আব্দুল কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর স্ত্রী প্রতিবেশী আমিনুর রহমানের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিস করেও স্ত্রীকে ফেরানো যায়নি। এক বছর তিন মাস আগে তিনি স্ত্রীকে তালাক দেন। এর পর থেকে স্ত্রী (সাবেক) বাবার বাড়ি দুপচাঁচিয়ায় বসবাস করেন। কুদ্দুসের তিন সন্তানকে তাঁর মা কুলসুম বেগম দেখাশোনা করেন। সাবেক স্ত্রী মাঝেমধ্যে সন্তানদের দেখতে আসতেন। সেই সুযোগে আমিনুরের সঙ্গে দেখা করতেন। এ নিয়ে আমিনুরের স্ত্রীর সঙ্গে কুদ্দুসের মা কুলসুম বেগমের ঝগড়া লেগেই থাকত।
বগুড়ার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুজন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিনুরের লাঠির আঘাতেই গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাহসিন মারা যায়। ঘটনার পর থেকেই আমিনুর পলাতক। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’