নওগাঁয় শীতের সকালে আজ প্রকৃতিতে রোদের মিষ্টি উষ্ণতা এনে দিয়েছে স্বস্তি। ভোরে কুয়াশার চাদরে মোড়া ছিল চারপাশ। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলো প্রকৃতির ওপর নেমে আসায় চারদিকে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।
আজ সকালে জেলার বদলগাছি আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতল বাতাস মানুষের কাজে বের হওয়ার গতি শ্লথ করলেও রোদের উপস্থিতি সেই ভারসাম্য কিছুটা ঠিক করেছে। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই দেখা গেছে মানুষ কাজে ফিরেছে।
শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় দিনমজুর আবুল কালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঠান্ডায় গত কয়েক দিন খুব কষ্ট হয়েছে। আজ সকাল সকাল রোদ ওঠায় মনে হলো কাজে নামলে কিছু আয় হবে। শীতের রোদ গায়ে পড়লে কাজের কষ্ট কিছুটা কমে যায়।
চা-দোকানি মানিক হোসেন জানান, শীতের সকালে চায়ের দোকানে ভিড় বেড়ে যায়। আজ রোদ ওঠায় বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। সকালে মানুষ কাজেও বের হচ্ছে।
এদিকে গ্রামাঞ্চলে এই শীতের রোদের প্রভাব আরও স্পষ্ট। সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের কৃষক দীপক মণ্ডল বলেন, ‘গেল কদিন সকালে ঠান্ডায় জমিতে নামা কঠিন ছিল। কিন্তু রোদ ওঠার পর কাজ শুরু করেছি। রোদ পেলে ফলনও ভালো হবে।’
একই এলাকার সরিষা চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার সরিষার দানা আসতে শুরু করেছে। কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে কিছুটা চিন্তায় ছিলাম। তবে আজকের রোদ গাছের জন্য অনেক ভালো হবে।’
শীতকালে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি থাকে। রোদে কিছুক্ষণ বসা উপকারী হলেও শীতের রাতে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান, নওগাঁ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসক আশীষ কুমার সরকার।
বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের এই সময়ে এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রার কাছাকাছি। দিনের বেলায় রোদ থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে ধারণা করছি।’