নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় জাহিদুল ইসলাম নামের এক ছাত্রকে হত্যা মামলায় তার মেয়েবন্ধুর মা মতিয়ারা বেগমকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে নাটোর সদরের মোহনপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট জাহিদুল ইসলাম নামের এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের চার দিন পর রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ। ওই ঘটনায় তার মেয়ে বন্ধুসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে নিহত জাহিদুলের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েবন্ধু, তাঁর (মেয়েবন্ধু) ভাই রেজাউল করিম, বাবা মোবারক হোসেন এবং খালা মাসুরা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই মেয়েবন্ধুর মাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামি মেয়ের খালাতো ভাই মাসুম আলী (২৪) এখনোও পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় মেয়ে বন্ধুর মাকে গ্রেপ্তার করে আজ (রোববার) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই মেয়ের খালাতো ভাই পলাতক রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, নিহত জাহিদুল ইসলাম কাঁকফো নতুন পাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে। জাহিদুল নাটোর সদরের পীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভকেশনাল শাখার মেকানিক্যাল ট্রেডের
শিক্ষার্থী ছিল। সে নাটোরের লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় তার নানা সামাদ আলীর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। গত ২৭ আগস্ট শনিবার বেলা ৩টার দিকে প্রতিবেশী একজনকে জরুরি রক্ত দেওয়ার কথা বলে নানা বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর ২৮ আগস্ট (রোববার) সকালে তার বাবার বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁকফো এলাকার কালারা ব্রিজ সংলগ্ন মাঠে মরদেহ পাওয়া যায়।