লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। লক্ষ্মীপুরের চারটি পৌরসভা ও পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৪০টি এলাকায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে প্রায় ৪০ হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এতে এই খাতে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।
গত ২৪ ঘণ্টায় লক্ষ্মীপুরের, বিশেষ করে রামগতির চর আবদুল্লাহ, চর রমিজ, পোড়াগাছা, চর আলেকজান্ডার, বড়খেরী, কমলনগরের পাটওয়ারীহাট, সাহেবেরহাট, চরকালকিনি, চরফলকন, সদরের চররমনী মোহন, চরমেঘা, রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাড়িতে পানি ওঠায় জ্বলছে না চুলা। পাশাপাশি টিওবওয়েলগুলো ডুবে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। ফলে চরম দুর্ভোগে আছে বানবাসী মানুষ। বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলায় পানিবন্দী আছে প্রায় সাড়ে লাখ মানুষ।
এ ছাড়া পশুপালন নিয়ে দেখা দিয়েছে সংকট। পাশাপাশি ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ কিলোমিটার মেঘনা নদী তীররক্ষা বাঁধের কাজও ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র স্রোতের কারণে কাজ করা যাচ্ছে না।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, জেলায় প্রায় ৫৪ হাজার পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ হাজার পুকুরের ৯০ শতাংশ মাছ ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর মাছ চাষের জলাশয়। এতে মৎস্য চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, যার পরিমাণ ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা হতে পারে।