নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামিরা জামিন পাওয়ায় আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত নগরের তালাইমারী মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা রুয়েটের সামনের সড়ক দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছিলেন না। ফলে অসংখ্য মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে আসামিদের বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকার হজের মোড়ে তুচ্ছ ঘটনার জেরে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি দফায় দফায় রুয়েটের ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। তাতে রুয়েটের ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনও আহত হন। এ নিয়ে পরদিন বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। এরপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় রুয়েট। এক বিজ্ঞপ্তিতে রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসামিদের শাস্তির আওতায় না এনে জামিন দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই হামলার ঘটনায় আসামিদের শাস্তির আওতায় না আনা হলে পরবর্তী সময়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দায় পুলিশ প্রশাসনের। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা খবর পান মামলার অন্য চার আসামিও আদালতে হাজির হয়ে জামিন পেয়েছেন। তাতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুয়েটের ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিরা সবাই জামিন পেয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার অভিযোগপত্র দিয়ে আসামিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এ আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।’