নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওষুধ সংগ্রহ করতে গিয়ে এমন অভিযোগ তোলেন শ্বাসকষ্টের রোগী বেগম সুলতানা খানমের ছেলে অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম।
ভুক্তভোগী শাহানূর ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে তার মায়ের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। আজ শ্বাসকষ্ট বেশি হওয়ায় শনিবার দুপুরের দিকে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। চিকিৎসক তাঁর অবস্থা দেখে তাঁকে গ্যাস দিতে বলেন। এ সময় গ্যাস দেওয়া নেবুলাইজারে তরল সলিউশন ব্যবহার করা হয়। সলিউশন এর গায়ে লেখা তারিখ অনুযায়ী দেখা যায় প্রায় এক মাস আগেই সেটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।’
শাহানূর আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমার মায়ের আগে আরেক ব্যক্তিকে ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছিল সেটিরও মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। এরপর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি আমি অবহিত করলে তারা সেই ওষুধ প্রয়োগ বন্ধ করেন দেন।’
এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ সংরক্ষণাগারের স্টোর কিপার রুহুল আমিন জরুরি বিভাগের লোকজনের ওপর দায় দিয়ে বলেন, ‘ওষুধের স্টোর থেকে এই ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। জরুরি বিভাগের লোকজন কোথা থেকে এই ওষুধ পেয়েছেন ও তা প্রয়োগ করছেন তাও তার জানা নেই। তবে এমন ঘটনার কথা তিনিও নাকি শুনেছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কানিজ ফারহানা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিগত বেশ কয়েক দিন ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে হাসপাতালে। আজ জানার পরে সেই ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।