নাটোরের বড়াইগ্রামে একটি অটো রাইস মিলের পানিতে ২০০ বিঘা খেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ৩৪ জন ভুক্তভোগী কৃষক আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলা গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি ও নওগ্রাম এলাকায় শিমুল অটো রাইস মিলের পানিতে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি ও নির্বাহী কর্মকর্তা।
নওগ্রামের কৃষক ফজলু প্রামানিক বলেন, ‘প্রায় ২০ দিন আগে নওগ্রাম মাঠের আমার তিন বিঘা জমিতে রসুন, গম ও ভুট্টা রোপণ করি। চারা গজিয়ে সবুজ আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখি পানি জমে আছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি শিমুল অটো রাইস মিলের পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে ফসলি জমিগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শিমুল আটো রাইস মিলের মালিককে জানালে কোনো কর্ণপাত করেননি।’
আরেক কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার দুই বিঘা জমির ধান কেটে শুকানোর জন্য জমিতে রেখে দিই। কিন্তু হঠাৎ করেই সব ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। শিমুল অটো রাইস মিল কর্তৃপক্ষকে বললে কোনো কিছুই করে না। পরে বাধ্য হয়ে অভিযোগ করেছি।’
‘আমার ৫ বিঘা জমিতে গম ও ভুট্টা চাষ করেছি। সেগুলো এখন পানির নিচে। দ্রুত এই পানি নিষ্কাশন করা না হলে আমার মতো শত শত বিঘার জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।’ বলেন কৃষক উসমান মোল্লা।
শিমুল অটো রাইস মিলের মালিক শিমুল হোসেন বলেন, ‘মিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য গর্ত রয়েছে। ১২টি হাঁড়ি ধোয়ার পানি মিলের গর্তে যায়। তবে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।’
হঠাৎ করে পানি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির পানি জমার কারণে এমনটি হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মিল কর্তৃপক্ষ দুই দিনের মধ্যে সমাধান করে দেবে বলে জানিয়েছেন। পানি জমার কারণে ফসলের ক্ষতি হবে। কৃষক চাইলে ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি অফিস সহযোগিতা করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাসেল বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’