নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ছিলেন কারাগারে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে রাখা হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। হাসপাতালে ভর্তির পর আদালত তাঁর জামিনও দেন। তবে বাড়ি ফেরা হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মারা যাওয়া এই ব্যক্তির নাম এ কে আজাদ শহীদ ওরফে সোহেল রানা (৪০)। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের ছোট হাতিদহ গ্রামের বাসিন্দা।
নাটোর জেলা কারাগারের জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাশকতার মামলায় পুলিশ সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করেছিল। আদালত গত ২১ নভেম্বর সোহেলকে জেলা কারাগারে পাঠান। পরে ২৯ নভেম্বর তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখানকার চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর সেদিনই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ৩০ নভেম্বর আদালত সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করেন। ১ ডিসেম্বর কারাগারে জামিনের কাগজ পৌঁছালে তাঁকে মুক্তি দেখানো হয়। হাসপাতাল থেকেও কারারক্ষীর পাহারা তুলে নেওয়া হয়।’ আজ বৃহস্পতিবার এই আসামি হাসপাতালে মারা গেছে বলে শুনেছেন তিনি।
রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোস্তফা শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে আনার প্রথম দিন থেকেই সোহেল রানা আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তিনি স্ট্রোক করেছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি মারা যান। পরে তাঁর মরদেহ বাড়ি নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।’