প্রতিনিধি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশের হাট-বাজারগুলোতে বিক্রির জন্য সারি সারি করে সাজানো রয়েছে মধুপুরের আনারস। মধু মাস জ্যৈষ্ঠের নানা জাতের ফল শেষ হতে না হতেই বাজারে এসেছে রসালো ফল আনারস। বাজার যেন এখন দখল করে রেখেছে এটি। বাজারে ঢুকতেই যেন বাতাসে ভেসে আসে পাকা আনারসের মৌ মৌ ঘ্রাণ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, তাড়াশের বৃহৎ নওগাঁ হাট, গুল্টা হাট, বারুহাস, বিনসাড়া, রানীর হাট ও তাড়াশ পৌর বাজারে ফল ব্যবসায়ীরা মধুপুর থেকে আনা জায়ান্টকিউ জাতের আনারস দোকানে সারি করে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করছেন। ফল বাজারে ঢুকতেই চোখে পড়ে হলুদ বর্ণের বিভিন্ন আকারে আনারস পসরা। দাম একটু বেশি হলেও মৌসুমের নতুন ফল হওয়ায় সবার লোভ যেন আনারসের প্রতি একটু বেশি। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী সবাই একটি কিংবা দুইটি কিনে বাড়িতে ফিরছেন।
ফল ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, এখন আনারসের মৌসুম। ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত আনারসের ভরা মৌসুম থাকবে। জায়ান্টকিউ ও হানিকুইন এ দুই জাতের আনারস সুস্বাদু, রসালো ও মিষ্টি হয়ে থাকে। জায়ান্টকিউ আনারস বেশ বড় হয়ে থাকে। বাজারে এর চাহিদা অনেকটাই বেশি। হানিকুইন আনারস আকারে ছোট হয়। একে স্থানীয়ভাবে জলডুগিও বলা হয়।
তাড়াশ পৌর বাজারে আসা উপজেলার ভাদাশ গ্রামের ফল ক্রেতা আনিছুর রহমান বলেন, মধুপুরের আনারস সুস্বাদু, রসালো ও মিষ্টি হয়। এ আনারস বাজারে নতুন এসেছে। কিন্তু দাম একটু বেশি হলেও নতুন ফল তাই এক জোড়া আনারস কিনলাম।
তাড়াশ পৌর বাজারের ফল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, এ মৌসুমে বাজারে আনারসের আমদানি বেশি থাকে। বাজারে এ আনারসগুলো টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থেকে আনা হয়। মধুপুরের আনারস সুস্বাদু, রসালো ও মিষ্টি হওয়ায় এর চাহিদাও বাজারে অনেক বেশি থাকে।
শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, এ বছর আনারসের বাজার একটু বেশি। আকারভেদে এক জোড়া আনারস ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়। দাম একটু বেশি হলেও নতুন ফল হওয়ায় চাহিদাও বেশ রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুমন হোসেন বলেন, মানবদেহের জন্য আনারস একটি গুণাগুণ সম্পন্ন মৌসুমি ফল। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। যা আমদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।