বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে যমজ তিন কন্যাসন্তানের জন্মের পর তাদের লালনপালন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবার। গত রোববার উপজেলার বনপাড়া এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুদের জন্ম হয়। মা ও শিশুরা সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জন্মদানকারী মায়ের নাম আম্বিয়া বেগম (২৬)। তিনি উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের সাড়াবাড়িয়া গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী। নুর ইসলাম একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং পেশায় সোনার দোকানের কর্মচারী।
আম্বিয়া খাতুন বলেন, ‘২০১১ সালে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ে পরের বছর একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়েছে। একটি কন্যাসন্তানের জন্য অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছিলাম। এভাবে যে তিন কন্যার জন্ম হবে ভাবতে পারিনি। তাদের জন্ম হওয়ায় আমার পরিবার অনেক খুশি। তবে লালনপালন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
নুর ইমলাম বলেন, ‘আমি একটি জুয়েলারির দোকানের কর্মচারী। সামান্য কিছু টাকা বেতন দিয়ে সংসার চলে। তিন সন্তানের জন্মের দিন থেকে দুধ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে সব কাজ করছি। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের বিল তো রয়েছেই।
নুর ইমলাম আরও বলেন, ‘আমার ছেলেসন্তানটি অসুস্থ। তার গলায় অপারেশন করাতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে আমার সন্তানদের সঠিকভাবে চাহিদা পূরণ নিয়ে চিন্তায় আছি।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ইমরান হোসাইন বলেন, শিশু ও মা সুস্থ আছে। জন্মের সময় দুটি শিশুর ওজন ২ কেজি করে ও একটির ২ কেজি ২০০ গ্রাম হয়েছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়াম খাতুন বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।