পাবনা প্রতিনিধি
গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে পাবনা শহরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর রোডের গ-ব্লকের একটি ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ছাত্রীর নাম শারভীন সুলতানা মীম (২৬)। তিনি মেহেরপুরের সালদা থানার গাংনী উপজেলার সালদা এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে। মীম পাবিপ্রবির টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের স্বামী আসিফ মোর্শেদ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব এখলাসপুরের আবদুল মালেকের ছেলে। তিনিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তাঁদের সহপাঠীরা বলছেন, গত ডিসেম্বরে তাঁরা দুজন বিয়ে করেছেন।
ভাড়া বাসার মালিক আজকের পত্রিকাকে জানান, ২ মাস আগে ওই ছাত্রীর স্বামী আসিফ মোর্শেদ বাসা ভাড়া নেন। তাঁরা সেখানে সব সময় থাকতেন না। গত রাতে আসিফ বাসায় ছিলেন না, ঢাকায় ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ পান। দরজা ধাক্কাধাক্কির পরেও না খুললে সবার সন্দেহ হয়। পরে পুলিশকে কল দেওয়া হলে তারা ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মীমকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বেলা ১১টায় খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। তখন দেখি পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস চলে এসেছে। এরপর দরজা ভাঙলে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহত ছাত্রীর বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আসলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’