রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্কুলছাত্রী নিয়ে উধাও হওয়া শিক্ষক আল শাহারিয়ার রোকনকে (৩৫) বহিষ্কার করা হয়েছে। আর স্বামীর শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী। এদিকে উধাও হয়ে যাওয়ার ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর কোনো সন্ধান মেলেনি।
স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু বক্কর বলেন, আজ সোমবার পর্যন্ত ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর কোনো সন্ধান মেলেনি। থানা-পুলিশের পাশাপাশি তাদের উভয়ের পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক প্রথম বিয়ের বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নাজনীন আক্তার সুমি বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে রোকন প্রতিনিয়ত আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। তাঁর সকল নির্যাতন এত দিন মুখ বুঝে মেনে নিয়েছিলাম। অথচ সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি তাঁর সঠিক বিচার চাই।’
দ্বিতীয় স্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি। আগামী দুই একদিনে মধ্যে জেলা জজ আদালতে একটি অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আক্তার জাহান বলেন, ওই শিক্ষক কয়েক দিন যাবৎ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। লোকমুখে শুনছি তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। ঘটনার দিন থেকে তাঁর ফোন নম্বর বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর ওই শিক্ষকের স্ত্রী তাঁর স্বামীর শাস্তির দাবিতে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এখনো পর্যন্ত স্কুলশিক্ষক ও ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। তবে আমরা তাদের সন্ধানে প্রযুক্তির মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আশা করা যায় অল্প সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন বিকেলে উপজেলার ঝলমলিয়া হাই স্কুলের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক আল শাহারিয়ার রোকন ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৬) নিয়ে উধাও হন। এ ঘটনায় ওই রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।