বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বাউয়েট) ১৭ জন শিক্ষক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি এলপার ডগার সায়েন্টিফিক ইন্ডেক্স ২০২৩ র্যাঙ্কিংয়ে প্রকাশিত বাংলাদেশের ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাউয়েটের ৪৯ তম স্থান অর্জন করে। এ সময় বাউয়েটের ১৭ জন শিক্ষক এর মধ্যে কেমিক্যাল সায়েন্স গবেষণা ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে রয়েছেন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে রয়েছেন সিই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ডিন অধ্যাপক রশিদুল হাসান, আইসিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান রুবেল বাশার, ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান মুবিন, ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শুভজিৎ কুমার সিংহ, পদার্থবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন, সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং প্রক্টর প্রফেসর মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ভূঁঞা, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহারুল ইসলাম, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুক, সিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান, আইসিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পার্থ প্রতিম দেবনাথ, ইইই বিভাগের প্রভাষক আব্দুল-আল আজমাইন, সিএসই বিভাগের প্রভাষক সুব্রত কুমার পাল, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক বরকত উল্লাহ, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুক্তার হোসেন, আইসিই বিভাগের প্রভাষক নাজমুল হুসাইন, এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূরুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোস্তফা কামাল বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাউয়েটের ১৭ জন শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গবেষকদের তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষক ড. মো. সাইফুল ইসলাম তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিশ্বসেরা র্যাঙ্কিংয়ে বাউয়েটের শিক্ষকেরা স্থান করে নেওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং এটা অনেক সম্মান ও গৌরবের বিষয়। তাই শিক্ষকদের শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণা কাজে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য আহ্বান করছি।’
বাউয়েটের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় ১৭ জন শিক্ষক স্থান পাওয়া অনেক বড় পাওয়া।’