সোনালি আঁশের সুদিন ফিরতে শুরু করেছে। গত বছর দাম ভালো পাওয়ায় রাজশাহীর পুঠিয়ায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাট চাষ করেছেন চাষিরা। সঠিক পরিচর্যার কারণে পাটের উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পরেছেন অনেক চাষি। তাঁরা পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। কৃষি বিভাগ চাষিদের ছোট ও অল্প পানিতে পাট প্রক্রিয়াকরণে রিবণ রেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইন বলেন, চলতি বছর উপজেলার ছয়টি ইউপি এলাকায় ৩৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এ বছর উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন। এ বছর স্থানীয় কৃষকেরা ও-৯৮৯৭, জিআরও ৫২৪ জাতের পাটবীজ বেশি বপন করেছেন। এছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা চাকা মার্কা জাতের পাটবীজও অনেকই বপন করেছেন।
আবুল হোসেন নামের স্থানীয় একজন পাট চাষি বলেন, আমি এবার তিন বিঘা জমিতে পাট বপন করেছি। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট কাটতে পারছি না। তবে কৃষি অফিস থেকে আমাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রিবন রেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে। কিন্তু একেতো শ্রমিক সংকট আরেকেতো অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে রিবণ রেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। পুকুর জলাশয়ে পাট জাগ দেওয়া সহজ ও তুলনামূলক কম খরচ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূঁইয়া বলেন, আগে চাষিরা বৃষ্টিপাত নির্ভর ছিল। আর বর্তমানে চাষিরা জমিতে সেচ ব্যবস্থায় পাটের চাষাবাদ করছেন। যার কারণে উৎপাদন হচ্ছে অনেক বেশি। এবার তুলনামূলক বৃষ্টিপাত কম। যার কারণে উন্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চাষিদের কিছুটা সমস্যায় পরতে পারেন। তবে চাষিরা রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট প্রক্রিয়া করতে পারেন। এতে অল্প পানিতে বেশি পরিমাণ পাট জাগ দিতে পারবেন। সাধারণত পাট জাগে ২০-২৫ দিন সময় লাগে। আর রিবন রেটিং পদ্ধতিতে ১০-১২ দিনে হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে পাটের রং ও মান অনেক ভালো হয়।