হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

সিরাজগঞ্জে ২ কৃষককে হত্যার দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি   

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ০৪
সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালত। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কৃষক মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া চারজনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৮ জনকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এই আদেশ দেন। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি হামিদুল ইসলাম দুলাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের হাসানুর রহমান হাসু, মো. কাওসার আলী, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন রিন্টু ও জাহিদুল ইসলাম জালিম।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের মো. মোতালেব, রেজাউল, সাদ্দাম, মনির হোসেন, আশরাফ আলী, বেল্লাল হোসেন, দুলাল হোসেন ও আব্দুল আওয়াল।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি সকালে সাইফুল ইসলাম তাঁর ভাই সোনা মিয়া, আবুল কালাম, মকবুল হোসেনসহ স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তি বাড়ির উঠানে বসেছিলেন। এ সময় হাসানুর রহমান হাসুর নেতৃত্বে আসামিরা লাঠি-সোঁটা, দেশীয় অস্ত্রসহ সাইফুল ইসলামের বাড়িতে এসে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় মকবুল হোসেন, আবুল কালাম, সাইফূল ইসলাম, সোনা মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় আসামিরা বাড়ি-ঘরেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে মকবুল হোসেন, সোনা মিয়া ও সাইফুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকায় নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

হতাহতের ঘটনায় উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলা চলাকালে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন আদালত। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ মামলার চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৯ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বিএমডিএ পিডি লাঞ্ছিত, নেপথ্যে ১৯ কোটির ‘ভাগ’

মিলেমিশে যমুনার বালু লুট বিএনপি-যুবলীগ নেতার

‘আল্লাহ যেখানে রাখে ভালোই রাখে’ আদালত থেকে বেরিয়ে সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকু

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার