হোম > সারা দেশ > বগুড়া

বগুড়ায় ৩২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনিশ্চয়তা

প্রতিনিধি, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) 

প্রায় দেড় বছরের ওপর করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ আগস্ট খোলার ঘোষণা এলেও ৩২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনিশ্চয়তা রয়েছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বন্যার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উপজেলার ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক নিমজ্জিত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠার কারণে পাঠদানে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। 

বন্যার পানিতে উপজেলার দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখনো আংশিকভাবে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। 

উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজামউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়টি এখন পানিতে নিমজ্জিত। বিদ্যালয়টির তিনতলা ভবনের নিচতলা এখনো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠে এখন অথই পানি। প্রতিষ্ঠানটির চারপাশও পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম অন্যত্র স্থানান্তরের কাজ চলছে। 

অপর বিদ্যালয় হলো উত্তর টেংরাকুড়া উচ্চবিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ২৫ জন এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০০। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে বলা হয়েছে পানি যেহেতু দ্রুত কমছে, তাই কয়েক দিনেই প্রতিষ্ঠান থেক পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্য দুটি প্রতিষ্ঠান যমুনাগর্ভে বিলীন হয়েছে। 

বন্যার পানিতে আংশিকভাবে নিমজ্জিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো ঘুঘুমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘুঘুমারি দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বয়রাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ হাটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পারদেবডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মাজবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উল্লাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৪ কর্ণিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকরতীনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর দীঘাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পেঁতিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আউচারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিক দাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেস্টিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরবাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর ফাজিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধলিরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, করমজা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চর শণপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর লক্ষ্মীকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাঙ্গড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর চালুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর ডাকাত মারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ধারাবর্ষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকুরিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ জামথল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিরামের পাঁচগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

এগুলোর মধ্যে ভাঙ্গরগাছা ও মানিকদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি সম্পূর্ণ যমুনায় বিলীন হয়ে যাওয়ায় এগুলো অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। বিদ্যালয় দুটি অন্যত্র স্থানান্তর করতে সম্ভাব্য খরচের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা। 

এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রয়েছেন ১২৫ জন। অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯০। ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৪টি ভবন এখন পানিতে আংশিকভাবে নিমজ্জিত। 

এসব বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত মেঝে, দেয়াল ও মাঠ মেরামতের জন্য সম্ভাব্য খরচের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। 

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, বিদ্যালয়গুলোর আশপাশে কোনো উঁচু স্থান পাওয়া গেলে সেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হবে।  

রাবিতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: ডিনদের পদত্যাগ ইস্যুতে ছাত্রদল

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

নিরাপত্তা শঙ্কায় রাবি শিক্ষকের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

ওসমান হাদি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন: তারেক রহমান

রাবির ৬ ডিনের পদত্যাগ দাবি: ভিসি, প্রো-ভিসির দপ্তরে তালার পর সভা, সিদ্ধান্ত রাতে

শিশু সাজিদের পরিবারকে অনুদান দিল জামায়াত

বগুড়ায় ট্রাকচাপায় কলেজছাত্র নিহত

দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা ও কৃষকের তিনটি গরু চুরি

রাবিতে ৬ ডিনের চেম্বারে তালা, দায়িত্ব ছাড়তে রাজি হয়েছেন বলে জানালেন জিএস আম্মার

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের