নাটোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসুর (৪০) দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভার হেমাঙ্গিনী সেতুর ওপর এ ঘটনা ঘটে। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান হাসানুর রহমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসু একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। গত ২১ জুন তিনি জামিনে বের হন। ওই ঘটনার জেরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরোর কর্মীরা কুপিয়ে তাঁর রগ কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ হাসুর। তবে রোকনুজ্জামান হিরো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আহত অবস্থায় নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে হাসানুর রহমান হাসু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তিন দিন আগে জামিনে বের হই। তারপর শারীরিক অসুস্থতার জন্য বাড়িতেই ছিলাম। সোমবার বাড়ি থেকে বের হয়ে হেমাঙ্গিনী ব্রিজ এলাকায় আসি। এ সময় নাটোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান হিরোর কর্মী রাব্বির নেতৃত্বে পাঁচ-সাতজন আমার ওপর হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমার দুই পায়ের গোড়ালি বরাবর কোপ মারে। আমার চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।’
ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরো জানান, ‘তিনি বা তাঁর কোনো কর্মী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। হাসু একজন সন্ত্রাসী। তার সঙ্গে অনেকের দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। এ ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার।’
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য, ঠিকাদারি কাজের টাকার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৬ এপ্রিল ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরো ও হাসুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে হিরোর সমর্থক শিশির নিহত হন। শিশির হত্যা মামলায় কারাগারে বন্দী ছিলেন যুবলীগ নেতা হাসু।
এ নিয়ে গত তিন দিনে তিনটি কোপানোর ঘটনা ঘটল নাটোরে।