Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি নদীতে, পরিবেশ বিপন্নের আশঙ্কা

আলী আকবর সাজু, ভালুকা (ময়মনসিংহ) 

কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি নদীতে, পরিবেশ বিপন্নের আশঙ্কা

ময়মনসিংহের ভালুকায় অপরিকল্পিতভাবে অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। ওই সব কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নেই সঠিক পরিকল্পনা। ফলে কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য মিশ্রিত দূষিত পানি নদনদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ বিপন্ন হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি কার্বন ড্রাই অক্সাইড, মিথেন, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি গ্যাস প্রতিনিয়ত বায়ুমণ্ডলকে বিষাক্ত করে তুলেছে এমনটাই দাবি করছেন পরিবেশবাদীরা। 

পরিবেশবাদীদের দাবি, ভালুকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে শিল্প কারখানা। এসব শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি নদীতে মিশে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এতে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার হুমকি রয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ও ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সদস্যসচিব কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, ভালুকায় অপরিকল্পিতভাবে ভরাডোবা এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইলস মিলস লিমিটেড, গ্লোরি স্প্রিনিং মিলস, এম এল ডাইং, চায়না ব্যাটারি কারখানাসহ শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব কারখানাগুলোতে নেই সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাস্তবায়ন। পানি শোধনাগার থাকলেও তা বেশির ভাগ সময় বন্ধ রাখা হয়। রাসায়নিক বর্জ্য মিশ্রিত পানি নদীতে মিশে নদীর পানি ও বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করে তুলছে। ফলে বায়ুমণ্ডলের ওজনের স্তর ধ্বংস হয়ে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে। এতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের শঙ্কা করা হচ্ছে। 

সদস্যসচিব আরও বলেন, সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। শিল্প বর্জ্য পরিশোধন করে নদীতে অপসারণ ও গ্যাস নিঃসৃত কারখানা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। 

মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক খলিলুর রহমান বলেন, শিল্প কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে নদী ও খালগুলো শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যের পানিতে পরিবেশ বিপন্ন হবে। আর এর প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকর ও ভয়ংকর। 

রাসায়নিক বর্জ্য মিশ্রিত দূষিত পানি নদনদীতে ফেলা হচ্ছেখলিলুর রহমান আরও বলেন, নদীর বিষাক্ত পানি পরিবেশ দূষিত করছে। ফলে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর বিশুদ্ধ বায়ু পরিবেশ রক্ষার অন্যতম একটি উপাদান। 

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু বলেন, উপজেলার নদনদী, খাল ও জলাশয় উদ্ধার এবং রক্ষা করা জরুরি। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। নদীগুলোতে কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি পরিবেশ দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। এতে জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ু দূষিত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। 

ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও বায়ু নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে চাইলে পরিবেশ রক্ষা ও দূষিত বর্জ্য মিশ্রিত পানি পরিশোধন করে নদীতে ফেলা জরুরি। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন বলেন, বর্জ্য মিশ্রিত পানি মিশে পরিবেশ বিপন্ন করে তুলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

‘ঢাবি আধিপত্যের’ প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

ইউএনওর কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধর, বিএনপির ৪ নেতাকে শোকজ

বার কাউন্সিলের পরীক্ষার ফি কমানোর দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হলো বিএনপি নেতার কৃষিযন্ত্র

প্রসবকালে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

ধামইরহাটে সরকারি জমির মাটি কাটায় জরিমানা

বগুড়ায় আ.লীগ নেতার বাড়িতে আগুন, নাশকতার অভিযোগ

রাজশাহীতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

৭ মাস পর কলেজছাত্র আসিফের লাশ পেল পরিবার

জয়পুরহাটে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত