দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে পর্যবেক্ষক হিসেবে ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে জেলায় এসব প্রতিষ্ঠানের একটিরও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ তালিকা সূত্রে জানা গেছে, নাটোর-১ আসনে পর্যবেক্ষক হিসেবে অনুমতি দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, সার্ভিসেস ফর ইকুইটি অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (সিড), বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, ডেভেলপমেন্ট হেল্পিং কি (ডিএইচকে), জানিপপ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ, সুফিয়া হানিফ ফাউন্ডেশন, পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (পাশা)। এই ছয়টি ছাড়া প্রকাশ গণকেন্দ্র (পিজিকে), বিয়ান মনি সোসাইটি এবং রাজারহাট স্বাবলম্বী সংস্থা সর্বমোট ৯টি সংস্থাকে ঘুরে ফিরে নাটোর জেলার চারটি আসনে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাটোরের সাতটি উপজেলার কোথাও এসব প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওর কর্তাব্যক্তিরাও এসব প্রতিষ্ঠানের নাম শোনেননি।
নাটোরে আলো এনজিও প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করছে। এর চেয়ারম্যান শামীমা লাইজু নীলা বলেন, ‘কমিশনের অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। কার্যালয় কোথায় তাও জানি না।’
লালপুরের স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আভা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান টগর বলেন, ‘আমরা প্রায়ই তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মিলিত হই। এমনকি ইউএনও অফিসেও মাসিক সভা হয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাউকে কখনোই দেখিনি। নামও শুনিনি।’
এ বিষয়ে নাটোর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, ‘নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা যাদেরকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছেন তাদের কাজে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। তবে তাদের মধ্যে কেউ যেন পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ না করেন সে বিষয়ে প্রশাসন সজাগ থাকবে।’