নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় এক চা-দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। পুলিশ বলছে, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ। এর আগে সকালে তাঁর নিজ বাড়ির শোবার ঘর থেকে ওই চা-দোকানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত চা-দোকানির নাম বিদ্যুৎ আলী (৪৫)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফাজিলপুর সানাপাড়া গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, রাতে ওই চা-দোকানি ও তাঁর স্ত্রী একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ চলছিল। রাতের কোনো একসময়ে তাঁর স্ত্রীর অজান্তে তিনি ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। সকালে বিদ্যুৎ আলীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তাঁর স্ত্রী।
এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁর মরদেহ নিচে নামানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
নিহত ব্যক্তির ভাই রমজান আলী জানান, বিদ্যুৎ উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাতেন। বেশ কিছু দিন থেকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। পারিবারিক কলহের কারণেই তিনি হয়তো আত্মহত্যা করেছেন।
মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।