বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার গাবতলীতে স্বামীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ত্রীকে (২১) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নে গোলাবাড়ী-তরনীহাট সড়কের পোড়াদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বামীর ইজিবাইকে করে ওই নারী বগুড়ার সারিয়াকান্দি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এই ঘটনায় গাবতলী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
গ্রেপ্তার ৫ জন হলেন-গাবতলী উপজেলার মহিষাবান মধ্যপাড়ার রাব্বি, আব্দুল অহেদ, হৃদয়, কাউছার ও মহিষাবান চকমড়িয়া গ্রামের নুর আলম ওরফে নিশাদ। তাঁদের বয়স ২১ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে বলে পুলিশ জানায়।
মামলা ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী গাবতলী উপজেলার মহিষাবান দহপাড়ার বাসিন্দা হলেও তাঁর পুরো পরিবার বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায় বাস করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজিবাইক চালক স্বামীর সঙ্গে ওই নারী সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রেম যমুনার ঘাটে ঘুরতে যান। সন্ধ্যা নাগাদ সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাঁরা গোলাবাড়ী-তরনীহাট সড়কের পোড়াদহ এলাকায় পৌঁছালে তাঁদের ইজিবাইকের গতিরোধ করে একদল যুবক। এরপর ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁদের জিম্মি করে পার্শ্ববর্তী ইছামতী নদী সংলগ্ন সিঙ্গারবিলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে তাঁরা ইজিবাইকের মধ্যে স্বামীকে আটকে রেখে ওই নারীর মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। এ সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের সেখানে ফেলে রেখে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনে বিষয়টি তাঁরা স্বজনদের জানালে ওই এলাকার কিছু লোক গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
গাবতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস শুকুর জানান, বিষয়টি থানা-পুলিশ অবহিত হওয়ার পরপরই সেখানে অভিযান শুরু করে। অভিযানে ওই ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়। আজ শুক্রবার এই ঘটনায় মামলা দায়ের হলে আটক ৫ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।