শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম! নামটির বিশালতা থাকলেও বাস্তবে তার কোনোই মিল নেই। প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের শেষের দিকে নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত কোনো খেলাই গড়ায়নি। উপরন্তু ওই স্টেডিয়ামে করা হয়েছে হালচাষ, লাগানো হয়েছে গাছের চারা। স্টেডিয়ামটির অবস্থান সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার সোনামুখীতে।
এ সময় কথা হয় স্টেডিয়ামে হালচাষ ও গাছ লাগানো কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা জানান, এই জমিগুলো তাঁদের ব্যক্তি মালিকানার। কিন্তু স্টেডিয়াম করার জন্য জায়গাটি নির্ণয় হলে স্থানীয় নেতা-কর্মীর আশ্বাসে তাঁদের জমিগুলো স্টেডিয়ামে দিয়ে দেন। সেখানে শর্ত ছিল ন্যায্য মূল্য দেওয়ার। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোনো কিছুই পাননি। উপায় না পেয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করেন জমির মালিকেরা। তারপর গত শুক্রবার দুপুরে হালচাষ করেছেন তাঁরা।
আব্দুল বারিক নামের এক জমির মালিক বলেন, ‘এখানে আমাদের ভাগি শরিক মিলে ৬৬ শতাংশ জমি আছে। ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় তো মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের নিয়ম নেই। নেতারা বলেছিল টাকা দেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা এক পয়সাও পাইনি। আদালতে মামলা করে গাছ লাগিয়েছি।’
লোকমান আলী শেখ নামের আরেকজন বলেন, ‘আমরা বাধা দিছিলাম আমাগোরে জমিতে মাটি কাটতে। কিন্তু উজ্জ্বল নেতা আর শাহজাহান চেয়ারম্যান জোর করে কাইটছে। তারা কইছে আমাগোরে টাকা দিবো। আমার ৬৭ শতক জমি তারা বেদখল দিয়া মাঠ বানাইছে। আমার থাইকা ফাঁকি দিয়া জাগা নিছে।’
৮৭ শতাংশ জমির মালিক শেফালী জানান, তাঁর জমিগুলো স্টেডিয়ামের জন্য যে নেওয়া হয়েছে তিনি নিজেই জানেন না। পরে চেয়ারম্যানরা টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু তাঁরা আর পরে পাত্তা দেননি। তাই নিজের জমিতে হালচাষ করেছেন তাঁরা।
স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এটাতো পুরোনো ইস্যু। অনেক আগের কথা স্টেডিয়াম হয়েছে। আপনারাতো জানেনই। আমার সাক্ষাৎকারটা বাদ দেন।’