নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওই গৃহবধূর নাম অন্তরা খাতুন (২০)। তিনি উপজেলার বিয়াঘাটের সাবগাড়ী গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় অন্তরার চাচা মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।
রুবেল হোসেন বলেন, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার বিয়াঘাটের সাবগাড়ী গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে তাঁর ভাতিজি অন্তরার বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর যৌতুকের দাবিতে ভাতিজিকে তাঁর স্বামী সাদ্দামসহ বাড়ির সবাই মিলে নির্যাতন শুরু করেন। অন্তরার সুখের কথা চিন্তা করে তাঁরা যৌতুক হিসেবে দেড় লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণ দেন। এরপরও বিভিন্নভাবে যৌতুক দাবি করা হয়। কিন্তু সেই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁর ভাতিজি অন্তরাকে মারধর করা হয়। সোমবার সকালে যৌতুক হিসেবে আবারও ২ লাখ টাকা দাবি করেন সাদ্দাম। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁর ভাতিজিকে মারধর করা হয়। এ সময় অন্তরার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলেও তাঁদের উদ্ধার করতে দেওয়া হয়নি। পরে প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে অন্তরাকে উদ্ধার করা হয় এবং গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর থেকে সাদ্দাম হোসেন পলাতক।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।