প্রতিনিধি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
করোনায় আক্রান্ত মা ও ভাইকে দেখতে নিয়মিত হাসপাতালে যাতায়াত করায় এক সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে আইসোলেশনে পাঠিয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার বিকেলে তাড়াশ উপজেলা সরকারি কোয়ার্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই কর্মকর্তার নাম মো. মাহমুদুর রহমান।
জানা যায়, তাড়াশে কর্মরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাহমুদুর রহমানের মা ও ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে নাটোর সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা ও সহায়তা করতে তিনি অবাধে যাতায়াত করতেন। তাঁর সঙ্গে বড় ভাই নাটোরের গুরুদাসপুরের মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ আলী আহমেদ এবং আরও কিছু আত্মীয়স্বজনও করোনা ওয়ার্ডে ঢুকতেন।
এ ঘটনা জানতে পেরে সংবাদ প্রকাশের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে গত বৃহস্পতিবার নাটোরে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন মো. মাহমুদুর রহমান ও মো. ফিরোজ আলী আহমেদ। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে করোনা ইউনিটে রোগীদের আত্মীয়স্বজনদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়।
এদিকে তাড়াশ উপজেলায় কর্মরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাহমুদুর রহমানকে করোনা ওয়ার্ডে অবাধ যাতায়াত করেও তাড়াশে ফিরে এসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে সচেতন মহল তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে শুক্রবার মাহমুদুর রহমানকে উপজেলা কোয়ার্টারে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তিনি।
তাড়াশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আকতারুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে একজন সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনাটি জানার পরই তাঁকে দ্রুত উপজেলা কোয়ার্টারে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।