সিরাজগঞ্জের ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনকে গুলি করার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক রায়হান শরীফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তাঁরা। এ সময় কলেজের সামনের সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শহরের কাজীপুর মোড়েই পুলিশ অবস্থান নিয়ে কলেজমুখী যানবাহনগুলো বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে দুপুর ১২টার পর কলেজে এসেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠন করে দেওয়া তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। মেডিকেল কলেজে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুতি, তাঁর সনদ বাতিল এবং ছাত্রকে গুলির ঘটনায় প্রচলিত আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন না বলে ঘোষণা দেন।
পুলিশ বলছে, আগ্নেয়াস্ত্রের প্রতি বিশেষ ঝোঁক ছিল রায়হান শরীফের। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি আগ্নেয়াস্ত্র কাছে রাখা শুরু করেন। ছাত্রজীবনে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। রায়হান শরীফের মোবাইল ফোনে অনেক অস্ত্রের ছবি পাওয়া গেছে। এগুলো তিনি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে রেখেছিলেন। এ ছাড়া তার হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেখানে এই শিক্ষকের অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক তৃতীয় বর্ষের ক্লাস নেওয়ার সময় শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের পায়ে গুলি করেন। ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:–