Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

অনলাইনে ফাইল পাঠাতে অনেক পরিশ্রম, তাই সম্মানী পান শিক্ষা কর্মকর্তা!

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

অনলাইনে ফাইল পাঠাতে অনেক পরিশ্রম, তাই সম্মানী পান শিক্ষা কর্মকর্তা!

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের অফিসে ডেকে এবং বিকাশের মাধ্যমে ঘুষ নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘুষের টাকা না পেলে আটকে থাকে ফাইল, হতে হয় হয়রানির স্বীকার। 

তবে শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকার কাছে অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, তিনি ঘুষ হিসেবে নয় সম্মানী ও পারিশ্রমিক হিসেবে টাকা নিয়ে থাকেন। 

অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগ ও এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অনলাইনে এমপিও ফাইল অগ্রায়ন করতে ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন এই কর্মকর্তা। 

আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা গেছে, শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এক নিয়োগপ্রাপ্তকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা চান। টাকা চাওয়ার একাধিক অডিও ফোনালাপের রেকর্ড এসেছে এই প্রতিবেদকের হাতে। 

ওইসব অডিও রেকর্ডে শফিকুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘একটি ফাইল পাঠাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অনেক ওয়েব সাইটে ক্লিক করতে হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিবেন।’ 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এনটিআরসিএ থেকে ৩১ জন শিক্ষক এই উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।

গত ০৯ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ওএম/ ৭৪ /ম/ ১৪-৩১২৩ নম্বর স্মারকে এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে একটি পত্র জারি করা হয়। সেই পত্রে বলা হয়, উপজেলা পর্যায়ে অনলাইনে এমপিও সংশ্লিষ্ট আবেদন অগ্রায়ণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য বিধিবিধানের আলোকে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সব নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তিসহ বিভিন্ন কাজে ঘুষ নিচ্ছেন। কর্মকর্তা হওয়ায় বাধ্য হয়ে তাঁকে ঘুষের টাকা দিতে হয়।

আক্কেলপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মোমিন বলেন, ‘এনটিআরসিএর ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশে আমার প্রতিষ্ঠানে ৩ জন শিক্ষক যোগদান করেন। তাঁরা অনলাইনে এমপিও আবেদন করেন। তিনি (শফিকুল ইসলাম) নিজ অফিসে আমাকে ডেকে নিয়ে তিনজনের ফাইল অনলাইনে পাঠাতে ৬ হাজার টাকা দাবি করেন।’ 

উপজেলার আরকেএম দাখিল মাদ্রাসার সুপার গোলাম আযম বলেন, ‘সম্প্রতি আমার প্রতিষ্ঠানে একজন কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে। সেই নিয়োগে তিনি (শফিকুল ইসলাম) টাকা নিয়েছেন। পরে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীর অনলাইনে এমপিও আবেদন ফাইল পাঠানোর জন্য ফোনে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন এবং সেই টাকা বিকাশে দিতে বলেন। পরবর্তীতে প্রার্থী নতুন চাকরি হওয়ায় ভয়ে তাঁকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম অভিযোগ স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনলাইনে এমপিও ফাইল পাঠাতে অফিস চলাকালে বাইরেও অনেক পরিশ্রম করতে হয়। এটি এক প্রকার পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়ে থাকি। তবে কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে আমি কোনো টাকা নিইনি। আমি নিয়োগের সময়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে গেলে তাঁরা আমাকে কিছু সম্মানী দেয়, যা ঘুষ নয়।’

জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার শিশির কুমার উপাধ্যায় বলেন, ‘শফিকুল ইসলামের বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এমপিও ফাইল পাঠানো তাঁর কাজের মধ্যে পড়ে। সেখানে কোনো অর্থ লেনদেন করার কোনো সুযোগ নেই।’

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সমাজসেবার বদলে নিজের সেবা

এইচএসসি পাসেই রাবিতে প্রথম শ্রেণির চাকরি!

রাবির ভর্তি পরীক্ষা: রংপুরের পরীক্ষার্থীর আসন চট্টগ্রামে, চট্টগ্রামের পড়েছে ঢাকায়

রাজশাহীতে থানা ঘেরাওয়ের পর ওসির বদলি

পাউবোর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মালেকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতির অভিযোগ

২ সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে আগুনে প্রাণ গেল মায়ের

হত্যাচেষ্টা মামলায় সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপি আজিজ রিমান্ডে

বড়াইগ্রামে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৭