লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ি রুহানীনগরে একটি খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটকের পর তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম ফরহাদ আলী (১৬)। সে ভাদাই ইউনিয়নের শীববাড়ি এলাকার গরুর ব্যবসায়ী শাহাজান আলীর ছেলে এবং সারপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। আটক মধু চন্দ্র ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ি রুহানীনগর এলাকার মৃত সুবাশ চন্দ্রের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মধু চন্দ্র শিশুকালে তাঁর বাবাকে হারায় এবং মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়। চাচার বাড়িতে বড় হয় তিনি। কিশোর বয়স থেকে নারায়ণগঞ্জের এক কারখানায় কাজ করেন। মাঝেমধ্যে বাড়ি আসতেন। তিনি এলাকায় চুরি করে ফের নারায়ণগঞ্জে চলে যেতেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কয়েক মাস আগে বাড়ি ফিরে একটি মোটরসাইকেল কিনেন ব্যবহার করেন মধু চন্দ্র।
সেই মোটরসাইকেলটি বিক্রি করেন পাশের গ্রাম শীববাড়ির শাহাজান আলীর ছেলে ফরহাদের কাছে। সেই মোটরসাইকেলের টাকা লেনদেন নিয়ে মনোমালিন্য হয় তাদের। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে আর ফেরেনি স্কুলছাত্র ফরহাদ আলী। ছেলের সন্ধান না পেয়ে আদিতমারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ফরহাদের বাবা।
সেই জিডির সূত্র ধরে ফরহাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি মধুর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর দেওয়া তথ্যমতে নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্র ও পাশের খাল থেকে ফরহাদের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফরহাদকে হত্যার অভিযোগে মধু চন্দ্রকে আটক করে পুলিশ।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিখোঁজের জিডির অনুসন্ধানে প্রথমে নিখোঁজের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করি। পরে আটক মধুর দেওয়া তথ্যমতে ফরহাদের বস্তাবন্দী মরদেহ তার বাড়ির পাশে খাল থেকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ফরহাদকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার মরদেহ খালে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে আটক মধু চন্দ্র। তবে মোটরসাইকেলটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।