খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পর লাশ গুম করার অভিযোগে এক নারী ও তাঁর ছেলে গ্রেপ্তার হয়েছে। এক বছর আগের এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘মাথায় আঘাতের’ সূত্র ধরে তদন্তে নেমে মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ।
এঁরা হলেন উপজেলার পূর্ব হাসিমপুর গ্রামের অবিনাশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী বাসন্তী রানী রায় (৫০) ওবং তাঁর ছেলে অনন্ত কুমার রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার তাঁরা দুজন দিনাজপুরের আমলি আদালতের বিচারক সুরাইয়া বেগমের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে খানসামা থানার ওসি চিত্তরঞ্জন রায় জানান।
গত ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর ওই গ্রামের একটি খেত থেকে বৃদ্ধ একরামুল হকের (৬০) লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। পরে লাশের ময়নাতদন্তের মৃত্যুর কারণ ‘মাথায় আঘাত’ বলে ধরা পড়ে।
পুলিশ বলছে, একই উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের ঘটু মিয়ার ছেলে একরামুল গ্রামে গ্রামে ফেরি করে ভাঙারি সংগ্রহ ও খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করতেন।
তদন্তের বরাত দিয়ে খানসামা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাওহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাসন্তীর সঙ্গে তাঁদের বাড়ির পাশে যৌন সম্পর্ক গড়তে গিয়েছিলেন একরামুল। একপর্যায়ে বাসন্তী রানী বিরক্ত হয়ে ধাক্কা দেন। তখন পাশে থাকা এক খুঁটির সঙ্গে মাথায় আঘাত পান একরামুল। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান একরাম।
পরে বাসন্তী ও তাঁর ছেলে মিলে একরামের লাশ পাশের খেতে রেখে আসেন বলে জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জানান।