দিনাজপুর প্রতিনিধি
আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর। গত সোমবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও গত ৪৮ ঘণ্টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রোদের দেখা মিললেও আজ বুধবার সকাল থেকেই উত্তরে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বুধবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় জেলায় বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তায় মানুষের চলাচল একেবারেই সীমিত। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
জেলার বিরল উপজেলার কৃষক মতিউর রহমান বলেন, ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশার জন্য কিছু দেখা যাচ্ছে না। তাই মাঠে কাজে যেতে পারছি না। কাজের লোকজনও পাওয়া যাচ্ছে না। বোরো রোপণে বেশ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
সদরের মাঝাডাঙ্গা এলাকার দিনমজুর জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দিন ঠান্ডা কম ছিল, কাম (কাজ) করিতে কষ্ট কম হইছিল। আইজ যে ঠান্ডা, কাম করা যাবে নাই।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান শৈত্যপ্রবাহটি দেশের বেশির ভাগ স্থান থেকে দূরীভূত হয়েছে। তবে দিনাজপুর, সৈয়দপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, রাজশাহী জেলায় শৈত্যপ্রবাহটি এখনো বিরাজ করছে। শৈত্যপ্রবাহটির তীব্রতা কিছুটা কমে বতর্মানে এটি মৃদু আকারে বয়ে যাচ্ছে।