চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
বাংলাদেশের ওপরই শুধু পশ্চিমাদের চাপ নয়, পশ্চিমাদের ওপরেও বাংলাদেশের চাপ আছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশের ওপর পশ্চিমাদের চাপ নয়, পশ্চিমাদের ওপরেও বাংলাদেশের চাপ আছে। আমরা স্বাধীন হয়েছি যুদ্ধ করে, আলোচনার টেবিলে স্বাধীন হই নাই। এই দেশ অন্য দেশের কথায় চলবে না, জনগণের কথায় এবং সংবিধানের নিয়মে চলবে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বুধবার দুপুরে চিলমারী নৌবন্দর এলাকায় সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, অতিরিক্ত সচিব বিআইডবিউটিসি এসএম ফেরদৌস আলম, বিআইডবিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, রৌমারী, রমনা এবং নয়ারহাট অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ সুবিধার জন্য ফেরিঘাট ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকা থেকে অন্যান্য নদী এবং সমুদ্রবন্দরের যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে রমনা এলাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ নদীবন্দর স্থাপন করা হয়। এ জন্য ২০২১ সালে একনেক সভায় ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়।
এ ছাড়াও ভৌত অবকাঠামো বিভাগ কর্তৃক প্রকল্প সংযোজনের জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে ৩৩৬ কোটি ৩ লাখ টাকার বরাদ্দ অনুমোদনের অপেক্ষা রয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে ভূমি উন্নয়ন, আরসিসি, জেটি, নদীর তীর সংরক্ষণ, টার্মিনাল ভবন ও বাংলো নির্মাণের কাজ শুরু করার লক্ষ্যে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চিলমারী নদীবন্দরকে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ একটি নদীবন্দর চালু করতে মাস্টারপ্ল্যানের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।