কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। ঘন কুয়াশা ঝরছে রাতভর, বেলা বাড়লেও দেখা নেই সূর্যের। কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। শীত উপেক্ষা করে বের হলেও কাজ পাচ্ছেন না ঠিকমতো। কপালে তাঁদের এখন চিন্তার ভাঁজ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরের হিমেল হাওয়া ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় ঠান্ডা বেশি অনুভব হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার জেলায় সকাল ৯টায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শ্রমজীবী মানুষদের কুয়াশা উপেক্ষা করে কাজে বের হতে দেখা গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষের সাংসারিক সচ্ছলতা রাখতেই তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে ছুটছেন কাজের সন্ধানে।
থানাহাট ইউনিয়নের পুঁটিমারী এলাকার আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঠান্ডায় বাইরে বের হওয়া যায় না। রিকশা চালাতে পারছি না। বউ-বাচ্চাকে ঠিকমতো খেতে দিতে পারছি না।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। আকাশে মেঘ থাকার কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে বেশি। উত্তরের হিমেল হাওয়া ঠান্ডার প্রধান কারণ।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক বলেন, ইতিমধ্যে শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে।