পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে একটি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নিয়োগ–বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বিচার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এলাকাবাসী গণ-আবেদন করেছে।
উপজেলার জাবরহাট হেমচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন এবং প্রধান শিক্ষক গোপেন্দ্র নাথ মালাকারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ১০৭ জন এলাকাবাসী গণ-আবেদন করেন।
লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, জাবরহাট হেমচন্দ্র দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি যোগসাজশ করে বিদ্যালয়টির লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিদ্যালয়ের কমনরুম ও গ্যারেজ নির্মাণের নামে প্রকল্প তৈরি করে কোনো কাজ না করেই প্রকল্পের সব টাকা পকেটস্থ করা হয়। বিধিবহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজাতির ১৫টি গাছ বিক্রি করে প্রায় ৩ লাখ এবং সরকারি বরাদ্দের ৩ লাখ, বিদ্যালয়ের জমি লিজ ও দোকানঘর ভাড়ার জমানো প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের ল্যাব. সহকারী, আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পিয়ন পদে নিজেদের লোক নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ বিষয়ে জাবরহাট হেমচন্দ্র দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপেন্দ্র নাথ মালাকারের মতামত জানতে তাঁর মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমি যত দিন ছিলাম বিদ্যালয়ের উন্নয়ন করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কেউ অভিযোগ করে থাকলে অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত হোক। যদি অপরাধী হয়ে থাকি তাহলে বিচার হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমিজ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’