হোম > সারা দেশ > রংপুর

প্রায় ৩ মাস পর বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন শেষে কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে পরিত্যক্ত ফেজ থেকে নতুন ফেজের যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কারকাজ শেষে আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেজে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।

এদিকে, আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় নির্ধারিত হওয়ার বিপরীতে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সেই সময় কয়লার মজুত ছিল ৩৬ হাজার টন, যা দিয়ে আগস্ট মাস পর্যন্ত চলার কথা নয়। ফলে কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এতে উত্তরাঞ্চলে লোডশেডিং বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অধিক জনবল নিয়োগের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ দিন আগেই পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হয়েছে। এমন খবরে কিছুটা হলেও স্বস্তি অনুভব করছেন এই অঞ্চলের মানুষ।

এ বিষয়ে কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, খনির পরিত্যক্ত ফেজ থেকে নতুন ফেজের যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কারকাজের জন্য গত ১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে টানা ২ মাস ২৭ দিন বন্ধ থাকার পর পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। ফলে কয়লা সংকটের কারণে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত এবং উত্তরাঞ্চলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আজ সকালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এ কয়লা উৎপাদন উদ্বোধন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে যন্ত্রাংশ অ্যাডজাস্টমেন্টসহ সব প্রক্রিয়া শেষে পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। এরই মধ্যে করোনার কিছু প্রাদুর্ভাব রয়েছে। গত দুই দিন আগে এখানে ৩৫ জন শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। একই সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার ১৪৩ জন শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের রেজাল্ট আজকে আসবে। এই প্রতিবেদনের ওপরে নির্ভর করবে আমরা কীভাবে এবং কোন দিকে এগোব।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, খনিতে বর্তমানে ৪০ হাজার টন কয়লা মজুত রয়েছে। আশা করছি পুরোপুরি উৎপাদন চালু হলে প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টন কয়লা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে দেশের বিদ্যুৎ খাতে যে ঘাটতি আছে তা কিছুটা কমে আসবে। 

পঞ্চগড়ে আবারও তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রির ঘরে

বাক্সবন্দী লাখ লাখ টাকার যন্ত্র

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ধাক্কা খেয়েছে জনগণের প্রত্যাশা: নুর

লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

মানুষের কষ্টের আগুনে পেট্রল ঢেলেছে সরকার: নুরুল হক

দেড় কিলোমিটার দূরে পুলিশের ফায়ারিং রিহার্সাল, বাড়িতে গুলিবিদ্ধ কিশোরী

ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির মহোৎসব

গাইবান্ধায় দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল ইউপি সদস্যের

পঞ্চগড়ের মানুষ চাইলে সারজিস কিংবা কোনো তরুণ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন

মিজানুর রহমান আজহারী লালমনিরহাট যাচ্ছেন শনিবার

সেকশন