দিনাজপুর-বিরামপুর-গোবিন্দগঞ্জ সড়কটি বিরামপুর পৌর শহরের কিছু জায়গায় রয়েছে ত্রিমুখী ও চতুর্মুখ সংযোগ সড়ক। প্রায়ই এসব সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণও হারিয়েছেন অনেকে। এভাবে আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছেন চালক ও পথচারীরা।
জানা যায়, গত ঈদুল ফিতরের আগে বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টিকের তৈরি সড়ক বিভাজক স্থাপনের ব্যবস্থা করেন পৌর মেয়র। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে, অনেক সংযোগস্থলে বিভাজক গুলো নেই এতে পূর্বের মতো ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরবাইক, সংযোগ স্থান দিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছে। বিশেষ করে কলেজ বাজার বড়তলী চতুর্মুখ সংযোগ স্থান ও উপজেলা গেট।
ওই এলাকায় সড়কের দু-পাশে মসজিদ, মাদ্রাসা, বাজার স্কুল-কলেজ, উপজেলা পরিষদ থাকায় সকাল ৯ থেকে ১০ পর্যন্ত সড়কটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যস্ত থাকে। পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী জনসাধারণ সড়ক পারাপার হচ্ছে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আক্কাস আলী জানান, বিভাজন গুলো অনেক জায়গায় থেকে চুরি হয়েছে এবং ট্রাক ও বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভেঙে গেছে। অচিরেই স্থায়ীভাবে কংক্রিট দিয়ে তৈরি বিভাজন দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, বিরামপুর শহরটি ব্যস্ততম এ পথ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে দুরপাল্লার ট্রাক-বাস এবং ঢাকাগামী দিনের ও রাতের কোচগুলো চলাচল করে। প্রতিদিন কোনো না কোনো স্থানে দুর্ঘটনা ঘটছে।
ওসি আরও বলেন, শহরের যদি সড়ক বিভাজক দেওয়া হয় তাহলে দুর্ঘটনার মাত্রা কমে যাবে।